জেলায় ৩ লাখ ১৫ হাজার কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা থাকলেও মজুদ রয়েছে মাত্র ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৯টি। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পশুর।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, জেলার ১৭ উপজেলার মজুদ থাকা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৯টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৩টি ষাঁড়, ৬৬ হাজার ৮০৩টি বলদ, ২৪হাজার ২৩৪টি গাভী/বকনা, ৩৩৮টি মহিষ, ২৫ হাজার ৫৬৫টি ছাগল, ১ হাজার ৬৬০টি ভেড়া এবং ৯৬টি অন্যান্য পশু।
জেলায় ১৯১টি গবাদি পশু হাটে ৬০টি মেডিকেল টীম কাজ করবে বলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গত ১৬ জুলাইয়ের সভায় আসন্ন ঈদুল আজহা পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্ত পথে বৈধ কিংবা অবৈধভাবে সকল প্রকার গবাদি পশুর প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই কারণে জেলা পশু খামারি ও পালনকারীরা তাদের পালিত পশুর ভালো দাম পাবে বলে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, আদর্শ সদরে খামারি ৫১৫জন ও পশু ৪ হাজার ৩১৫টি। চৌদ্দগ্রামে খামারি ১ হাজার ৯৯৩ জন এবং পশু ২৫ হাজার ১৮৪টি। বরুড়ায় খামারি ২ হাজার ২০৫জন এবং পশু ১১হাজার ৫টি। লাকসামে খামারি ৩৬৩জন এবং পশু ১৬ হাজার ১৮টি। নাঙ্গলকোটে খামারি ১ হাজার ২১৮জন এবং পশু ২১ হাজার ১২৮টি। চান্দিনায় খামারি ৫ হাজার ৬০৮জন এবং পশু ১৪ হাজার ৬১৬টি। দাউদকান্দিতে খামারি ১ হাজার ৬৮৬জন এবং পশু ১৬হাজার ৪৭৮টি।
মুরাদনগরে খামারি ৪ হাজার ১৭০ জন এবং পশু ২২ হাজার ২৬৪টি। বুড়িচংয়ে খামারি ২ হাজার এবং পশু ১৩ হাজার ৭২১টি। ব্রাহ্মণপাড়ায় খামারি ২ হাজার ২১৯জন এবং পশু ৮ হাজার ৭৫৬টি। হোমনায় খামারি ৩হাজার ৪১৩জন এবং পশু ৪৪হাজার ৭১০টি।
মেঘনায় খামারি ২ হাজার ৫০৬জন এবং পশু ১৩ হাজার ৬৯১টি। তিতাসে খামারি ১ হাজার ৬জন এবং পশু ৯ হাজার ৯২৬টি। সদর দক্ষিণে খামারি ৭০৪জন এবং পশু ৫ হাজার ২৫৯টি ও মনোহরগঞ্জে খামারি ৭০৪জন এবং পশু ৯ হাজার ৩৫৪টি।
২০১৮ সালে কোরবানি ঈদে জেলায় জবাই করা পশুর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ১১হাজার ১১২টি। এ সময় জেলায় পশুর খামারি ও পালনকারীর সংখ্যা ছিল ৭০হাজার ৯৬৮জন।